ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে মুখরিত শহর

AL-1ইমাম খাইর, কক্সবাজার :::
জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল ঘিরে উৎসবে মুখর হয়ে ওঠেছে পুরো শহর।
‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে শহরকে প্রকম্পিত করে তুলেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীরা।
শুধু তাই নয়, চা-য়ের কাপেও ঝড় তুলেছে জেলা আওয়ামীলীগের এবারের সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রচারণা।
৩১ জানুয়ারী রবিবার সকাল দশটায় শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৩০ জানুয়ারী শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ শহরটাই যেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দখলে ছিল।
এমন চিত্রটি রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে দু’চোখ মেলে দেখেছে আমজনতা।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমণকে স্বাগত জানিয়ে শনিবার বিকালে মিছিল বের করে শ্রমিকলীগ।
জেলা সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারীর নেতৃত্বে মিছিলটি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে।
রবিবারের সম্মেলন সফল করার আহবান জানিয়ে মিছিল বের করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাশেদুল রাশেদের সমর্থকেরা।
এর কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন রকমের ব্যানার, প্লে-কার্ড হাতে মিছিল করে সাধারণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থী পৌর অওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা।
এছাড়া আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ দিকে একযুগ পরে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তৃণমূলে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেনা বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সব প্রার্থীই শক্তিশালী। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
ইতিমধ্যে এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করেছে।
কাউন্সিলে পছন্দের প্রার্থী জিতে না আসলে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্খা করছেন সচেনমহল।
তবে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি বলছে, তারা সুষ্ঠু সম্মেলন ও কাউন্সিল উপহার দিবে। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই কক্সবাজার পৌঁছে গেছেন। বাকী নেতারাও আসার পথে। যথা সময়েই শুসৃঙ্খলভাবে সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর।
এবারের সম্মেলন শেষে অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে মোট ৩০৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হবেন পর্যটন নগরীর নৌকার কান্ডারী।
তবে একটি সুত্রের দাবী, নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সম্মেলন হলেও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবেনা। ঢাকা থেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
রবিবারের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি।  প্রধান বক্তা হিসাবে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া ডজনখানেক আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পর্দার অন্তরালে নানা নাটকীয়তা চলছে। ওঠে আসছে প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা। চলছে একে অপরের দোষ অন্বেষণ। এ নাটকের শেষ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত।

পাঠকের মতামত: